বয়স ১৭ কি ১৮ হবে । খুব সুন্দরী । সবসময় চেষ্টা করে সেজেগুজে
থাকার । দামী আর নিউ ব্র্যান্ডের নেইলপালিশ ব্যবহার করে ও । রাস্তা দিয়ে যখন হেটেঁ যায় পারফিউমের সুগন্ধে আশেপাশের
মানুষ মুগ্ধ হয়ে যায় । আশেপাশের সব এলাকার ছেলেরা ওর জন্য
পাগল । রাস্তা দিয়ে হাটাঁর সময় সবাই ওর দিকে তাকিঁয়ে থাকে ।
নীলাও খুব খুশি হয় । মানুষকে ওর দিকে আরও আকৃষ্ট করার
জন্য প্রতিদিনই ও নিত্যনতুন স্টাইল করে ।
১৮ বছরের একটা মেয়ে কি মরে ? বুড়ো হলে তবেই না মরবে । যদিও আমরা সবাই জানি মৃত্যু প্রতিনিয়ত আমাদের দরজায় কড়া
নাড়ছে । কিন্তু মানি কয়জন ? ভাবি কয়জন ? মৃত্যু যে কোন বয়সে
যে কোন অবস্থাতেই হতে পারে । এটাই সত্য । ভয়ংকর হলেও সত্য
এই ভয়ংকর সত্যটাই নীলার জীবনে ঘটে গেল । অসুস্থ হয়ে অল্প
কিছুদিনের মধ্যে জীবন প্রদীপ নিভে গেল নীলার । .
তখন সন্ধ্যা । অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে । নীলার মৃত দেহটাকে
বাড়ি থেকে দূরে এক বাগানে মাটিতে কবর দিয়ে আসা হল । সেই
দেহটাই । যেটা নিয়ে গর্ব ছিল নীলার । যা নিয়ে অনেক ছেলের
মনেই বাসনা ছিল । যাকে পরিপাটি রাখতে হাজার হাজার টাকা খরচ
করতো ও । দামী জামা না হলে যে নীলা জামা-ই পড়তো না সেই নীলা-ই আজ কম দামী একটুকরো সাদা কাপড় পড়ে মাটিতে শুয়ে
আছে ।
.
কবর দিয়ে সবাই বাড়িতে চলে আসলো । কেউ কান্না করছে,
কেউ বিমর্ষ হয়ে বসে আছে, কেউ বা নীলার স্মৃতিচারণ করছে
বাড়ির উঠানে বসে । হঠাৎ সবার সামনে উঠানের এক কোণে সাদা কাপড় পড়া অবস্থায় এসে হাজির হল নীলা । সুন্দর চেহারাটাতে
অনেকগুলো কাটাঁ কাটাঁ দাগ । বিশ্রী দুর্গন্ধ ভেসে আসছে শরীর
থেকে । নিজের রুমের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিঁয়ে আছে ও । ভয়
পেয়ে গেল লোকজন । দৌড়ে হুজুর নিয়ে আসলো একজন । হুজুর
এসে সবকিছু দেখেশুনে বললেন,"লাশটাকে আবার কবর থেকে
উঠাতে হবে ।" সবাই মিলে লাশটাকে কবর থেকে তুলল । হুজুর ভালো করে লাশটাকে দেখলেন । নীলার বাম হাতের কড়ে আঙ্গুলে
নেইলপালিশ লেগে আছে । হুজুর বললেন,"এই নেইলপালিশটা ওর
হাত থেকে যে করেই হোক দূর করতে হবে । তা না হলে ওর অনেক
সমস্যা হবে ।" কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও কেউ ওর আঙ্গুল থেকে
নেইলপালিশ মুছতে পারলো না । অতঃপর হুজুরের পরামর্শে ওর
আঙ্গুলটা কেটে ফেলা হল । পুনরায় ওর লাশ কবর দেওয়া হল । তারপর থেকে আর কোনদিনও নীলাকে সাদা কাপড় পড়া অবস্থায়
উঠানে কোণে দেখা যায় নি ।
বি: দ্র: কেহ শিক্ষামূলক গল্প ভাবিয়া ভূল করিবেন না । কারণ
আমার আপনাকে উপদেশ দেওয়ার মত কোন যোগ্যতা নেই ।
No comments:
Post a Comment